চিকেন বিরিয়ানি: দোকানের মতো ঝরঝরে আর সুস্বাদু চিকেন বিরিয়ানি তৈরির সহজ রেসিপি। মশলাদার ও সঠিক উপকরণ দিয়ে বানান পারফেক্ট চিকেন বিরিয়ানি যা সবাই পছন্দ করবে। ঘরেই উপভোগ করুন রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন বিরিয়ানির স্বাদ!
পুজোর সময় বিরিয়ানি যেন এক বিশেষ খাবার। আর নবমীর দিন চিকেন বিরিয়ানি বানালে তো কথাই নেই! এই রেসিপিতে আমি আপনাদের এমন একটি চিকেন বিরিয়ানি শেয়ার করছি, যা দোকানের মতো ঝরঝরে এবং অত্যন্ত সুস্বাদু হবে। রান্নার পদ্ধতি খুব সহজ, তবে মসলার সঠিক মিশ্রণ এবং সময়ের উপর আপনার বিরিয়ানির স্বাদ নির্ভর করবে।
এটি প্রস্তুত করতে সময় লাগবে প্রায় ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা এবং এটি ৫ জনের জন্য উপযুক্ত। একটি সুন্দর এবং সুস্বাদু বিরিয়ানি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে সুগন্ধি বাসমতী চাল, মাংস এবং স্বাদে সঠিক মসলা।
এই বিরিয়ানিতে আপনি পাবেন মাখন-মসলার স্বাদ, টক দই এবং সুগন্ধি কেওড়া জল যা এটি আরও সুস্বাদু করে তুলবে। প্রতিটি লেয়ারে মাংস এবং ভাতের সঠিক মিশ্রণ এবং গরম মসলার ব্যবহার আপনার বিরিয়ানির স্বাদকে অনন্য করে তুলবে।
আপনারা চাইলে বাড়িতে বানিয়ে নিয়ে আসুন এই সুস্বাদু চিকেন বিরিয়ানি। আশা করি আপনারা এটি খেয়ে মুগ্ধ হবেন!
প্রথমে একটা পাত্রে এক কাপ দুধের মধ্যে বিরিয়ানি মশলা গুলিয়ে রাখতে হবে ।
মুরগির মাংসটা ভালো করে ধুয়ে মাংসের মধ্যে গোল মরিচের গুঁড়ো, নুন,টক দই দিয়ে ভাল করে মেখে রাখতে হবে 30-40 মিনিটের জন্য ।
বাসমতি চালটা ভালো করে ধুয়ে ১ ঘন্টা মতো ভিজিয়ে রাখতে হবে । এক ঘন্টা পর চাল ভালো করে ভিজে গেলে একটি বড় পাত্রে কিছুক্ষণ জল গরম করে নিতে হবে। জলটা একটু গরম হয়ে গেলে শুকনো গোটা গরম মসলা গুলো একটা কাপড়ের পুটলির মধ্যে করে জলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপর জলটা ফুটতে থাকলে চাল দিয়ে দিতে হবে ।
চালটা ৮০% মত সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর সিদ্ধ হয়ে গেলে ভাতটা ভালো করে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে।
কড়াইতে তেল গরম করে আলুগুলো একটু লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপর আরো কিছুটা তেল দিয়ে তার মধ্যে তেজপাতা,গোটা গরম মসলা,গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে।
তারপর মিহি করে কেটে রাখা পেঁয়াজকুচি দিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিয়ে তার মধ্যে আদা বাটা,রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। আদা, রসুন বাটা টা ভালো করে পেঁয়াজের সঙ্গে কষিয়ে নিয়ে তার মধ্যে নুন, হলুদ সামান্য একটু চিনি, টমেটো কুচি, লঙ্কাগুঁড়ো, চিকেন মশলা এবং সামান্য একটু বিরিয়ানি মসলা দিয়ে মুরগির মাংস এবং ভেজে রাখা আলু দিতে হবে ।তারপরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
ভালো করে কষানো হয়ে গেলে এবার কম আচে সামান্য একটু জল দিয়ে আলু এবং চিকেনের সাথে মসলাগুলোকে 15 মিনিট মতো আরো একটু কষিয়ে নিতে হবে,যাতে ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়। মাংসটা ভালোমতো সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর আগে একটু গরম মসলা বাটা বা গুড়ো দিয়ে দিতে হবে ।
এবার একটা পাত্রে সামান্য কিছুটা গোলাপজল, কেওড়া জল ও মিঠা আতর দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে রাখতে হবে ।
এরপর একটা বড় হাঁড়িতে ঘি মাখিয়ে দিতে হবে । তারপর কটা তেজপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে । তেজ পাতার ওপর সুন্দর করে আগে একটা লেয়ার ভাত দিতে হবে তার পর রান্না করা মাংসটা কিছুটা পরিমাণ দিয়ে দিতে হবে । মাংসের ওপর আবার ভাত দিয়ে দিতে হবে । এরপর একে একে ভাতের ওপরে দুধে ভেজানো মশলা , গোলাপজল,কেওড়া জল, মিঠা আতর দিয়ে দিতে হবে । তারপর ভেজে রাখা বেরেস্তাটা দিয়ে দিতে হবে । তারপর কিছুটা ঘি ভালো করে ছড়িয়ে দেব।
এরকম ভাবে পরপর মাংসের ও ভাতের তিনটে লেয়ার বানিয়ে নিতে হবে। আর এর মধ্যেই ডিমসেদ্ধ দিয়ে দিতে হবে।
তারপর একটু আটা মেখে নিয়ে ভাতের হাঁড়ির মধ্যে গোল করে আটাটা লাগিয়ে দিতে হবে। তারপর হাঁড়ির ঢাকনাটা বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে কোনরকম হাওয়া বাতাস না ঢোকে।
একদম কম আঁচে একটা চাটু বসিয়ে তার উপর বিরিয়ানির হাঁড়ি বসিয়ে দিতে হবে। কম আঁচে মোটামুটি আধ ঘন্টা মত বিরিয়ানির হাঁড়িটা রেখে দিতে হবে। আধাঘন্টা পর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু বিরিয়ানি।
আপনারা চাইলে ফুড কালার ব্যবহার করতে পারেন ,শুধু মাত্র দেখতে সুন্দর লাগার জন্য ।এতে কোন স্বাদের তারতম্য হয় না ।
গরম গরম পরিবেশন করুন কথা দিলাম বাইরের বিরিয়ানি আর খাওয়ার ইচ্ছে হবে না ।
রেসিপি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার আর ফলো করবেন ।